রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনে সেন্টেবালে চ্যারিটির এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি রাজ পরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে আসার বিষয়ে কথা বলেন।
প্রিন্স হ্যারি বলেন, তিনি ও তার স্ত্রী মেগান সরকারি তহবিল ছাড়াই রানির হয়ে দায়িত্ব পালন করা চালিয়ে যাবেন বলে আশা করেছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব হয়নি।
‘বিশ্বাসের ওপর ভর করে’ নতুন জীবনে প্রবেশ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
রাজপরিবারের পূর্ণকালীন দায়িত্বে থাকা সদস্য থেকে হ্যারি-মেগান দম্পতি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রথম হ্যারি কোথাও বক্তব্য রাখলেন, জানিয়েছে বিবিসি।
তবে রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি ও মেগান ‘পুরোপুরি চলে যাচ্ছেন না’ বলে জানিয়েছে হ্যারি।
বলেছেন, “যুক্তরাজ্য আমার বাড়ি, আমার ভালোবাসার জায়গা, এটি কখনো পাল্টাবে না।”
বক্তব্যে হ্যারি আরও বলেন, “সবসময় আমার দাদীর প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা বজায় থাকবে, (উনি) আমার কমান্ডার ইন চিফ।
“আমাদের আশা ছিল সরকারি তহবিল ছাড়াই রানির, কমনওয়েলথ ও আমার সামরিক সঙ্ঘগুলোর সেবা চালিয়ে যাওয়া। দুর্ভাগ্যবশত তা সম্ভব হয়নি।
“আমি এটি মেনে নিয়েছি, এটি জেনেই মেনে নিয়েছি যে এতে আমি কে তা বা আমার প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার কোনো পরিবর্তন হবে না।”
চলতি মাসের প্রথমদিকে প্রিন্স হ্যারি ও মেগান এক ঘোষণায় বলেন, “আমরা রাজ পরিবারের ‘জ্যেষ্ঠ’ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে আসতে চাইছি। আমরা চাইছি আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার জন্য কাজ করতে। পাশাপাশি মহামান্য রানির প্রতি আমাদের পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।”
শনিবার ব্রিটেনের রানি ও রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে চূড়ান্ত সমঝোতার অংশ হিসেবে ‘তারা আর কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে রানির প্রতিনিধিত্ব করবেন না’ এটি মেনে নিয়েছেন হ্যারি ও মেগান।
আসছে বসন্ত থেকে তার আর হিজ/হার রয়্যাল হাইনেস (এইচআরএইচ) উপাধি ব্যবহার করবেন না এবং সরকারি সামরিক নিয়োগসহ রাজকীয় দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে স্থির হয়েছে।
তবে হ্যারি ও মেগান তাদের ব্যক্তিগত পৃষ্ঠপোষকতা ও সঙ্ঘ-সমিতির সঙ্গে সম্পকর্ বজায় রাখতে পারবেন বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।